রাজশাহী নার্সিং কলেজে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং ছাত্রলীগের ছাত্রদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার( ১৫মে ) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সবৃন্দ। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
নার্সদের অভিযোগ, গত ১২ মে একটি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে নার্সিং শিক্ষকদের জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তার অংশ হিসেবে রাজশাহী নার্সিং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এবং রামেক হাসপাতালের কিছু সিনিয়র স্টাফ নার্স কলেজের অডিটোরিয়ামে একটি সভায় অংশ নিতে গেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য তাদের উপর হামলা চালায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং-এর কিছু ছাত্র প্রথমে কলেজে উপস্থিত সিনিয়র নার্সদের গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং একপর্যায়ে তাদের কলেজ ভবনে তালাবদ্ধ করে রাখে। ঘটনা জানাজানি হলে আরও নার্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদেরও লাঠি, হকিস্টিক, রড ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এতে অন্তত ৭ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স গুরুতরভাবে আহত হন এবং বর্তমানে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নার্সরা জানান, এই ধরণের বর্বর হামলা নার্সিং পেশার জন্য অপমানজনক ও অমানবিক। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আন্দোলনরত নার্সরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজন হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।
ডেপুটি নার্সিং সুপারিনটেন্ড কামরুন্নাহার বলেন, “ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। আমরা রোগীদের সেবা বন্ধ না করে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি এবং এরপর সেবায় ফিরে যাবো।”
সিনিয়র স্টাফ নার্স জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, “আমরা ডিপ্লোমা বা বিএসসি ভিত্তিক ভেদাভেদ চাই না। আমরা সবাই নার্স এবং একই ছাতার নিচে এক হয়ে কাজ করতে চাই।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মামুনুর রশীদ, কামরুল ইসলাম, রিমা খাতুন ও খুশি হালদার। বক্তারা একমত হন, যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে নার্সদের ওপর এধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
বৃহস্পতিবার( ১৫মে ) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সবৃন্দ। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
নার্সদের অভিযোগ, গত ১২ মে একটি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে নার্সিং শিক্ষকদের জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তার অংশ হিসেবে রাজশাহী নার্সিং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এবং রামেক হাসপাতালের কিছু সিনিয়র স্টাফ নার্স কলেজের অডিটোরিয়ামে একটি সভায় অংশ নিতে গেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য তাদের উপর হামলা চালায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং-এর কিছু ছাত্র প্রথমে কলেজে উপস্থিত সিনিয়র নার্সদের গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং একপর্যায়ে তাদের কলেজ ভবনে তালাবদ্ধ করে রাখে। ঘটনা জানাজানি হলে আরও নার্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদেরও লাঠি, হকিস্টিক, রড ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এতে অন্তত ৭ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স গুরুতরভাবে আহত হন এবং বর্তমানে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নার্সরা জানান, এই ধরণের বর্বর হামলা নার্সিং পেশার জন্য অপমানজনক ও অমানবিক। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আন্দোলনরত নার্সরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজন হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।
ডেপুটি নার্সিং সুপারিনটেন্ড কামরুন্নাহার বলেন, “ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। আমরা রোগীদের সেবা বন্ধ না করে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি এবং এরপর সেবায় ফিরে যাবো।”
সিনিয়র স্টাফ নার্স জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, “আমরা ডিপ্লোমা বা বিএসসি ভিত্তিক ভেদাভেদ চাই না। আমরা সবাই নার্স এবং একই ছাতার নিচে এক হয়ে কাজ করতে চাই।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মামুনুর রশীদ, কামরুল ইসলাম, রিমা খাতুন ও খুশি হালদার। বক্তারা একমত হন, যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে নার্সদের ওপর এধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।